যশোরের শার্শার বাগআঁচড়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন।
রোববার (৭ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে শার্শার সোনাতনকাটি বামুনিয়া গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় এলাকায় টান টান উত্তেজনা বিরাজ করছে। দুইপক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলা করেছেন।
এদিকে হামলার প্রতিবাদে রোববার রাতে বাগআচড়া বাজারে নাভরন-সাতক্ষীরা সড়ক বন্ধ করে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে নৌকা প্রাথী ইলিয়াজ কবীর বকুলের সমর্থকরা। এতে যানবাহন চলাচল আধাঘণ্টা বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়ে পথচারীরা। বিক্ষোভ করে বকুলের কর্মীরা স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেকের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনকে আইনী পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এঘটনায় রাতেই আব্দুল খালেকসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে নৌকা প্রার্থী ইলিয়াজ কবীর বকুলের কর্মী মুকুল হোসেন।
নৌকা প্রার্থী ইলিয়াস কবীর বলেন, নৌকার পক্ষে নেতাকর্মীরা প্রচারণা চালাতে সোনাতনকাঠির বামুনিয়া গ্রামে পৌঁছালে স্বতন্ত্র প্রার্থী খালেক জামায়াত-বিএনপির সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের উপরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায়। এতে তার ১২জন নেতাকর্মী আহত হয়। আবার এ ঘটনায় নাটক সাজাতে তারা নিজেরা নিজেদের নির্বাচনী কার্যলয় পুড়িয়ে তার কর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা করেছে।
সুষ্ঠু তদন্ত করে সন্ত্রাসীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান তিনি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল খালেক বলেন, বকুলের সমর্থকরা অকর্থ ভাষায় স্লোগান দিয়ে মিছিল বের করে। এতে তার সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়। এ সময় দুই পক্ষের লোকজন একে অপরের হামলায় আহত হয়েছে। পরে তার একটি নির্বাচনী কার্যলয় আগুন ধরিয়ে দেয় বকুলের সর্মথকরা। এতে বকুলসহ ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ৩০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে তার কর্মী আরিফুজ্জামান শিপলু।
শার্শা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বদরুল আলম খান জানান, নির্বাচন প্রচার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে নৌকা এবং স্বতন্ত্র প্রতীকের সমর্থকদের মধ্যে অপ্রীতিকর ঘটনায় পাল্টাপাল্টি মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে জানান তিনি।